Posts

Showing posts from June, 2018

কবি সাহিত্যিক এস. এম. আবদুল আহাদ এর কবিতা

কবিতাঃ’ঝড়’ -------কবি সাহিত্যিক এস. এম. আবদুল আহাদ  (১৮৮৫-১৯০৭) জন্মস্থানঃ দুবলাপাড় গ্রাম, সন্দ্বীপ, চট্টগ্রাম। (১) বৈশাখেতে একদিন বেলা ‍দ্বিপ্রহর, নিরমল মেঘ-শূন্য হাসিছে অম্বর। বসন্তের সমীরণে, বহিতেছে ঘন ঘন, বাগানে ফুটে’ছে পুষ্প মনোহর, প্রেমালাপে ব্যস্ত তাহে কাল মধুকর। (২) বেলা দে’খে রাখালেরা যায় বাড়ী পানে, গাহিতে গাহিতে গান সবে এক তান । গাখীরা দোলায়ে কায়, এক দৃষ্টে চ’লে যায়, বিশ্রামিতে চায় মাত্র ছায়া যেই স্থানে, সহেনা পোড়ান জ্বালা রোদের কিরনে। (৩) ঝোপের খিতরে থাকি এক বিহঙ্গম, ”বউ কথা কও” ডাকে বিসর্জ্জি সরম। বিরলে আবের পাখী, ”দে জল” বলিয়া ডাকি, মিনতি করিছে যেন বিভূর সদন। জীবন বিহনে ওর যায় যে জীবন। (আংশিক, পুরা অংশ আসবে)

জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান’কে নিয়ে কিছু কবিতা

Image
জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান’কে নিয়ে কিছু কবিতা ১] কবিতাঃ জয় বাংলার জয়গান কবিঃ  সনি ভূঁইয়া বাঙ্গালী সকালে ভোরের পাখি ডাকার কথা ছিল সূর্যের মত একটি ফুল হয়ে নতুন কোন প্রস্তাবনা আলো ছড়াতে চেয়েছিল। দূঃখি হৃদয়ে আলোর সঞ্চার হওয়ার কথা ছিল কাল সকালে ! কিন্তুু তা আর হলো না কাল সকালটা কালো কাঁপরে জড়িয়ে দিল একটি শুকুনের দল। চুঙ্গাহাতে বাঙ্গালী বাঙ্গালী বলে চিৎকার করে যে মানুষটি গড়েছিল বাংলাদেশ সে আর নেই গতকাল রাতে তাঁকে হত্যাঁ করলো তাঁরই বাঙ্গালী ভাই। মৃত্যুর নিত্যধ্বনি যখন বেঁজেছিলো হায়েনারা যখন রাতের আঁধারে জেগেছিল যখন অগ্নি-বারুধ সাঁজিয়েছিল মৃত্যুর মঞ্চ তখনো যিঁনি গেয়েছিলেন জয় বাংলার জয়গান সেই আমার জাতীর পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বঙ্গবন্ধু হত্যাঁর খুনিদের বিচার চাই নিস্তব্ধতা ছড়িয়ে দিতে চাই খুনিদের প্রাণে। ২] কবিতাঃ এসো আমাদের পতাকাতলে কবিঃ  সনি ভূঁইয়া বাঙ্গালী এসো নবীণ কলম হাতে সময়ের প্রয়োজনে, স্বদেশের ডাকে অস্ত্রের বিরুদ্ধে কলমের হুংকার যানি তোমরাই পারো, তোমরাই পারবে জ...

২০১৭ বইমেলাই প্রকাশিত কাব্যগন্থ - "নিশীপদ্ম” থেকে ৩টি কবিতা

Image
"নিশীপদ্ম”  থেকে ৩টি কবিতা ১] কবিতা : পতাকা             সনি ভূঁইয়া বাঙ্গালী সকালে লাল সূর্যের মত সব ফুল ফোঁটে না যেমন ফোঁটে নি বাঙলাদেশ ! বহু ভাইয়ের রক্তের ফোঁটা বানিয়েছে রক্তগঙ্গা বাবাদল করেছে রক্তক্ষণ মা দিয়েছে আঁচলে ডাকা ভালবাসার আত্নাহুতি বোন দিয়েছে সম্ভম। তবে পেয়েছি একটি লাল-সবুজের স্বদেশ। আটষট্টি হাজার বর্গমাইল জুরে একটি কাপর লাল সবুজে ঘেরা এই পতাকা রক্তাক্ত এই পতাকা লক্ষ মায়ের সম্ভম এই পতাকা লক্ষ বাবার সংগ্রাম রক্ষি রক্ষা করতে হবে রক্ষি জাগো। একজাত শুকুনের দল খামছায় আমর পতাকা আমি জাগ্রত জেগে উঠো নবীণ। ২] কবিতা : জয় বাংলার জয়গান                               সনি ভূঁইয়া বাঙ্গালী সকালে ভোরের পাখি ডাকার কথা ছিল সূর্যের মত একটি ফুল হয়ে নতুন কোন প্রস্তাবনা আলো ছড়াতে চেয়েছিল। দূঃখি হৃদয়ে আলোর সঞ্চার হওয়ার কথা ছিল কাল সকালে ! কিন্তুু তা আর হলো না কাল সকালটা কালো কাঁপরে জড়িয়ে দিল ...

ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলন এর বিপ্লবী লাল মোহন সেন

Image
চট্টগ্রাম আস্ত্রাগার লুট মামলার আসামি বিপ্লবী লালমোহন সেন (১৯১০-১৯৪৬)  সংগ্রহঃ  মোবারক হোসেন সনি ভূঁইয়া ১৩১৭ বঙ্গাব্দেন অগ্রাহায়ণ মাসে, ইংরেজি ১৯১০ সালে মুছাপুর গ্রামে বিপ্লবী লালমোহন সেন জন্ম গ্রহণ করেন । পিতার নাম অখিল চন্দ্র সেন । সুদের ব্যবসা করে সেন পরিবার ধনি হয়েছিলন ।শৈশবে   লালমোহন কুতুব উদ্দিন মুনদারের (মজুমদার) বাড়ীর সম্মুখে অবস্থিত প্রাইমারী স্কুলে লেখাপড়া আরম্ভ করেন। এর পর তিনি ১৯২০ সালে মুছাপুর মধ্য ইংরেজি স্কুলে ভর্তি হন। ঐ সময় তার গৃহশিক্ষক ছিলেন নোয়াখালী জেলার রামপুর গ্রামনিবাসী সতীশ চন্দ্র বর্দ্বন। গিরিশ বাবুর মতো সতীশ চন্দ্র বর্দ্ধনও সন্দ্বীপে শিক্ষা বিস্তারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। মধ্য ইংরেজি পরিক্ষায় উত্তির্ন হয়ে লালমোহন ১৯২৪ সালে কার্গিল হাইস্কুলে সপ্তম শ্রেণিতে ভর্তি হন। ১৯২৬ সালে নবম শ্রেণীতে অধ্যায়নকালে কার্গিল হাইস্কুলে পরিত্যাগ করেন ।১৯২৮ সালে   চট্টগ্রাম নর্মাল স্কুলে ভর্তি হন। স্কুলের হোস্টেলে   থেকে লালমোনহ পড়ালেখা করেতে থাকেন । এ সময় লালমোহনের সাথে বিপ্লবী আনন্দ গুপ্ত, অনন্ত সিং গনেশ ঘোশ প্রমুখের সাথে পরিচয় ঘটে ।...