জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান’কে নিয়ে কিছু কবিতা

জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান’কে নিয়ে কিছু কবিতা




সকালে ভোরের পাখি ডাকার কথা ছিল
সূর্যের মত একটি ফুল হয়ে

নতুন কোন প্রস্তাবনা আলো ছড়াতে চেয়েছিল।
দূঃখি হৃদয়ে আলোর সঞ্চার হওয়ার কথা ছিল
কাল সকালে !
কিন্তুু তা আর হলো না
কাল সকালটা কালো কাঁপরে জড়িয়ে দিল
একটি শুকুনের দল।
চুঙ্গাহাতে বাঙ্গালী বাঙ্গালী বলে
চিৎকার করে যে মানুষটি
গড়েছিল বাংলাদেশ
সে আর নেই
গতকাল রাতে তাঁকে হত্যাঁ করলো তাঁরই বাঙ্গালী ভাই।
মৃত্যুর নিত্যধ্বনি যখন বেঁজেছিলো
হায়েনারা যখন রাতের আঁধারে
জেগেছিল
যখন অগ্নি-বারুধ সাঁজিয়েছিল মৃত্যুর মঞ্চ
তখনো যিঁনি গেয়েছিলেন
জয় বাংলার জয়গান
সেই আমার জাতীর পিতা
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
বঙ্গবন্ধু হত্যাঁর খুনিদের বিচার চাই
নিস্তব্ধতা ছড়িয়ে দিতে চাই খুনিদের প্রাণে।


এসো নবীণ কলম হাতে
সময়ের প্রয়োজনে, স্বদেশের ডাকে
অস্ত্রের বিরুদ্ধে কলমের হুংকার

যানি তোমরাই পারো, তোমরাই পারবে
জনতার সাড়িতে বিপ্লবের আগুন ছড়াতে
অন্যায়ের বিরুদ্ধের ন্যায়ের আইন প্রতিষ্ঠা করবে
এসো হে নবীণ
সময়ের শ্রেষ্ঠ সন্তান
তোমায় আমরা ডাকছি প্রাণ খুলে
এসো ছাত্রলীগের পতাকাতলে
অস্ত্রের বিরুদ্ধে কলমের হুংকার ছড়াবে।
আমাদের সৃষ্টি বাংলাদেশ
আমরা রইছি চিরসজিব
আমারাই শেখ মুজিব।
আমাদের প্রাণে আদর্শে
একটিই সেই নাম
সারা বিশ্বের আলোরণ বিপ্লবী রঙিণ স্লোগান
সেই মহান সারা বিশ্বের
সেই আমার জাতীর পিতা বঙ্গবন্ধু মুজিবুর রহমান।
আমরা আছি ভয় নেই বিবেগ তোমার
এসো বঙ্গপ্রদিপ জ্বালিয়ে রাখবে
এসো প্রিয় আমাদের পতাকা তলে।
[সংক্ষিপ্ত]



৩]
হয়ত ভুলে গেছি ৭ই মার্চ
ভুলে গেছি দীর্ঘ ৯মাস

তবু আজ ১৬ডিসেম্বর

জাতী হিসেবে আমার বিজয়ী
আমরা স্বাধীন !
এ বিজয়ে শিমুলদার
মনে আনন্দের কোন ছাপ নেই
নেই কোন বিজয়ী উল্লাস।
ফোঁটার তাগিদে নীলিমায় মাথা নিচু করে
অপরাধির ন্যায় দাড়িয়ে
আজো আঁকাশে যেন বিসাক্ত বায়ুর ছড়াছড়ি
বাতাশে লাশের গন্ধ
মন যেন একটি মুক্তক্ষণের অপেক্ষারত!
কোন সে শুভক্ষণের আশায়
নিশাচর রাত্রযাপন?
অবশেষে -
পাকিস্তানের বাতাসে এক নতুন গন্ধ ছড়ালো
লন্ডন দ্বীল্লির আঁকাশ মাটি কাঁপিয়ে
শ্বাসত মানুষের ভালোবাসা কুড়িয়ে
এলো শিমুলতলায়!
আবেগানন্দে উৎদ্ভাসিত
বিজয়ে আজ পূর্ণতার হাতছানি।
আজ আমার বাংলার
আঁকাশ মুক্তির আলো ছড়ালো
বাতাসে স্বাধীনতার সুগ্রাণ বইল
প্রাণে প্রাণ জাগিল প্রত্যাবর্তনের উল্লাসে।
আবার মোদের মুজিব এলে
অল্প ক'দিন রবে।।


দু'তলা বাড়ীর সিড়িঁ বেয়ে
ভেসে এসেছে রক্তের স্রোত
তারা ভেবেছিলো সে রক্ত শুকিয়ে গেছে

তারা ভেবেছিল সে রক্ত মরে গেছে
তাদের ধারণা ভুল ছিল
আমি সেই রক্তের জোয়ারে ভেসে রক্তস্নানে অগ্নি হয়েছি
আমি সেই রক্ত যুগ থেকে যুগান্তরে ছড়িয়ে দিতে এসেছি।
ধানমন্ডি ৩২বেয়ে যে রক্ত কণিকা রাজপথে নেমেছে
সে রক্তের প্রতিফোঁটায় বহ্নি জ্বালাতে রাজপথে নেমেছি
আমি সেই রক্তের মিছিলে স্লোগান দিতে এসেছি।
যারা নিভাতে চেয়েছিল আমার স্বাধীনতার প্রদিপ
রক্ত-উত্তরীয় পড়াতে চেয়েছিল
প্রিয় স্বদেশ আমার
আমি তাদের রক্ত ঝরাতে কলম ধরেছি
আমি রাখাল রাজার রক্তিম আহ্বান
জনপদ থেকে জনপদে
জনেজন থেকে জনান্তরে
দেশ থেকে দেশান্তরে
প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তর ছড়িয়ে দিতে এসেছি।
আমি মুকুটহীন রাজারদেশে
মুকুট নিয়ে এসেছি।


লোকমুখে শুনেছি!
তুমি তারুণ্যের অভিযাত্রী

এসেছো আলো নিয়ে

সবার হাতে মশাল দিয়ে তুমি গেছো অন্ধকার
আমরা তোমার পথের পথিক
আছি তোমার অপেক্ষারত
কালো আঁধারে জ্বেলেছো
আলোর মশাল
তুমি আছো অন্ধকারে।
হাজার বছর ধরে তোমার অপেক্ষা আর কত
এবার আমরা আঁধারে জ্বালাবো আলো
জ্বলে যাবে সব হায়েনার দল
তুমি ভাল থেকো
প্রিয় বাংলাদেশ
তুমি আছো হৃদয়গহীনে
যেখানে মৃদুস্বর বলবে কথা
চেতনার উন্মেশে
জ্বলবে আগুনের পরশমনি
তুমি রহিবে!
হৃদয় আত্মায় মিশে
চির সজিব হয়ে
মুজিব তুমি রহিবে
আমার বাংলাদেশ হয়ে।

০৬]
সকালে ভোরের পাখি ডাকার কথা ছিল
সূর্যের মত একটি ফুল হয়ে
নতুন কোন প্রস্তাবনা আলো ছড়াতে চেয়েছিল।

দূঃখি হৃদয়ে আলোর সঞ্চার হওয়ার কথা ছিল
কাল সকালে !
কিন্তুু তা আর হলো না
কাল সকালটা কালো কাঁপরে জড়িয়ে দিল
একটি শুকুনের দল।
চুঙ্গাহাতে বাঙ্গালী বাঙ্গালী বলে
চিৎকার করে যে মানুষটি
গড়েছিল বাংলাদেশ
সে আর নেই
গতকাল রাতে তাঁকে হত্যাঁ করলো তাঁরই বাঙ্গালী ভাই।
মৃত্যুর নিত্যধ্বনি যখন বেঁজেছিলো
হায়েনারা যখন রাতের আঁধারে
জেগেছিল
যখন অগ্নি-বারুধ সাঁজিয়েছিল মৃত্যুর মঞ্চ
তখনো যিঁনি গেয়েছিলেন
জয় বাংলার জয়গান
সেই আমার জাতীর পিতা
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
বঙ্গবন্ধু হত্যাঁর খুনিদের বিচার চাই
নিস্তব্ধতা ছড়িয়ে দিতে চাই খুনিদের প্রাণে।


যারা শোষিত যারা বঞ্চিত
কবি বলতেন তাদের কথা

যারা পরাধিনতায় হানাদারের যাতায় পিষ্ঠ হত
কবি বলতেন তাদের কথা
যাদের সাহষ ছিল আঁকাশ ছোঁয়া
স্বদেশ প্রিতি ছিল মায়ের মমতা ঝড়ানো
কবি স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন তাদের মুক্তির।
সাহষি সাড়ে সাত কোটি বীর ঘুমিয়ে ছিল
কবি জাগিয়ে ছিলেন
স্বাধীনতার দিপ্ত স্লোগান তুলে দিয়েছেন
তাঁদের মুখে।
দিয়েছিলের বিশ্বের বুঁকে মাথা তুলে দাড়াবার অধিকার।
শোষনের কলে পিষ্ঠ হয়ে
কবি ছড়িয়ে দিলেন এক অগ্নি, দাবানল।
কবি ডাক দিলেন সাড়ে সাত কোটি বাঙ্গালীর নাড়ির বন্ধণ
তারা সাড়া দিলেন কবির বজ্রকন্ঠের একটা কবিতা শুনতে।
তারা সাড়া দিলেন মুক্তি সড়ক খুঁজতে,
কবি কবিতাই দিলেন কাঙ্খিত মুক্তির দিশা।
কবি বলে গেলেন…………………
"এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম,
এবারে সংগ্রাম আমাদের স্বাধীনতার সংগ্রাম"
চক্ষু পলকে গণজোয়ারে উঠিল মুক্তির নেশা।
জনতা হইলো এক একটা
স্বাধীনতার কামান আর স্বদেশপ্রেমী।
আমি সেই কবির স্লোগান দিতে এসেছি
আমি সে কবির বাকশালের কর্মী হতে চেয়েছি।
আমি সেই কবির একটা নাম দিয়েছি
আমি তাঁকেই স্বাধীনতা ভাবছি।
হাজার বছর ধরে শ্রেষ্টতার আসনে
আমি তাঁকেই বসিয়ে রেখেছি
হ্যাঁ! শ্রোতাদলের ধারনা সঠিক
আমি জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কথা বলছি।

০৮]
আমি ভুলেছিলাম! যাই হউক,
সকাল সাড়ে আট্টা হবে

বৃষ্টিভেজা কাল রাস্তায় বেরিয়ে ছিলাম কোন কাজে
শত তরুণ যেখানে বিজয়ে স্বপ্ন দেখত,
হঠাৎ সেই পিসি মোড় :
একটি কন্ঠ বেসে এলো,
জনতার মাইকে রক্তে আগুন ধরানো সেই কন্ঠস্বর
আমায় পথরুদ্ধ করলো।
যে কন্ঠে রয়েছে মুক্তির বাতীঘর
রয়েছে একটি জাতী স্বাধীনতার কথা
সে ভরাট কন্ঠস্বর যেন
আজো বিপ্লবী করে তুলছে প্রতিটি বঞ্চিত মানুষকে।
সেই মুক্তির নেশগ্রস্থ কন্ঠ আমার ভিতরের আমি জাগিয়ে দিল।
আমার সারা গাঁয় শিউরে উঠেছিল,
আমার মনে হতে লাগলো পিতার এক কুলাঙ্গার সন্তান আমি
কেন ভুলেছিলাম পিতা হারানোর সেই নির্মম নিষ্ঠুর দিনটি।
একটা বাণী আমার কর্ণে বিদ্রোহী হুংকার দিল
সেই ছিল সাড়ে সাত কোটি বাঙ্গালীর অধিকার আন্দোলন
আমি প্রধাণ মন্ত্রীত্ব চাই না,
আমি এদেশের মানুষের অধিকার চাই।।
বঞ্চিত বাঙ্গালীর অধিকার প্রতিষ্ঠার কথা কোন কালে কোন মেজর বলেনি
কোন ঘাতক চাই নি
বলেছিলেন একুশ শতকের মহান নায়ক
আমার জাতীর পিতা বঙ্গবন্ধু মুজিবুর রহমান।
আমার অপরাদ বোধ তীর হয়ে বিঁদেছে বারবার
বলছিল,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,
আমার জীবণ যেন বঙ্গবন্ধুর আদর্শের কথা বলে,
আমি সেই মুজিবুর রহমানের কথা বলছি।
সেদিনের আকাঁশ ফুঁফিয়ে কেঁদেছিল সারাদিন,
পকৃতির কান্নার জ্বলে আমি ভিজে গিয়েছিলাম,
ক্ষণেক পর আমি অনুভব করলাম,,,,,,,,,,,,,,,
প্রকৃতির সাথে আমার আঁখি দুখান সংঙ্গ দিতে লাগলো,
আকাঁশজল-কান্নাজল মিলেমিশে একাকার হয়েছিল,
অসাড় আমি দাঁড়িয়েছি জনতার ভীরে,,,,,,
ভাবতে পারছিলাম না কিছুই,
জনতার মাইকে তোমার ভরাট কন্ঠের সেই বাণী আবার আমায় বিপ্লবী নাড়া দিল
"এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম,
এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম"।
আমার অশ্রুসিক্ত চোখেরর অশ্রু,
মুহূর্তেই রক্তলাল বর্ণ ধারণ করল।
পিতার খুনিদের শ্মশান রচনার স্বাদ জেগেছিল
অক্ষম তাই সব ভুলে গেলাম।
পারি না অস্ত্র ধরে প্রতিশোধ নিতে
তাই নিরব থেকে ধরেছি কলম
চাইছি পিতা হত্যার বিচার।।

Comments

Popular posts from this blog

কবি,সাহিত্যিক ও লেখকদের জন্ম ও মৃত্যু দিবস

বাংলার আদি কবি মীননাথ

ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলন এর বিপ্লবী লাল মোহন সেন