কাব্যগ্রন্থঃ তারুন্যের শপথ
কি দরকার ছিল ২১ফেব্রুয়ারী
কি দরকার ছিল বরকতের রক্ত
কি দরকার ছিল সালাম ভাই শহীদ হল
কি দরকার ছিল ভাষার জন্য আহাজারি
কি দরকার ছিল মায়ের মুখের মুক্তি
কি দরকার ছিল ১৪৪ধারা ভঙ্গ করা।
আমার মায়ের মুখের মুক্তির জন্য
তোমরা আজ ভাষা সৈনিক
তোমারা আজ রক্ত গঙ্গায় শহীদ
তোমরা বিজয়ী ছিলে
বিজয় ছিল সাত কোটি জনতার।
আমারা দুঃখিত-
ভাষা সৈনিকগণ
আপনারা ভাল থাকবেন
ভাল থাকছেনা আপনাদের স্বাদের বর্ণমালা।
রক্ত দিয়ে মুক্তি কিনেছো
আমার ভাষা আমার সংষ্কৃতি ফিরিয়ে দিয়েছো।
আমরা নির্বোধরা তোমাদের জীবণের যথাযথ মূল্যায়ন করিনি।
ব্যাবসা করছি তোমার রক্তের স্রোত দিয়ে
লাঞ্চিত করেছি তোমার অহংকার
পদদলিত করছি তোমার ভাষা।
আকাশ সংষ্কৃতি এখন আমাদের
প্রাণের সংষ্কৃতি।
আজ ভাষা দিবসে
বিনদেশি তারার আলো দেখি
ভুলে থাকি আমাদের আমাদের প্যারনা আমাদের চেতনা
তোমাদের রক্ত স্নান
মূল্যহীন এই জাতীর কাছে।
এই জাতীকে যদি বলো
কেড়ে নিব বাংলা।
জাতীর পদান্তর হবে না,
না ঘোশনা দাও নেংটা সংষ্কৃতি বন্ধ করার
তবে দেখবে মাছে ভাতে বাঙ্গালী
তার জীবণযাত্রা ভুলে
নেংটা হয়ে নামবে
নেংটা সংষ্কৃতি রক্ষা করতে।
না বিজয়ী শহীদ ভাইরা
দুঃখ করো না
নেংটা সংষ্কৃতি বাঁচাতে তারা নেংটা হতে পারে যদি
তবে তোমাদের রক্তের সন্মান রাখতে
আমরা তাদের দর্শনও করতে পারি।
তোমারা আছো থাকবে, থাকবে তোমাদের যুদ্ধ
তোমরা বেঁচে থাকবে
বর্ণমালার মুক্তির জন্য
বিজয় তোমাদের
বিজয় সংষ্কৃতির
বিজয় চেতনার।
অস্তিত্বে মিশে যাই অস্তিত্ব
জাগ্রত জনতা!
জাগ্রত ২১
জাগ্রত শহীদ মিনার।
সংষ্কৃতি বাঁচাতে ভাইরা
রক্ত ঢেলেছে
রক্তাক্ত করেছে আমার কাল রাস্তা।
অ' ক' খ'র জন্য ১৪৪পদদলিত করছে সালামরা
মার মুখের একটু হাঁসি ফুটাবার তাগিদ নিয়ে
জব্বাররা করছে রঞ্জিত বাংলা।
তাদের স্বরণে আজ
রাজপথে ফুলের মিছিল হবে।
হাজরো ললনা গোলাপ হাতে ছুটবে শ্রদ্ধা স্বরণীতে।
বহুনেতা নিজ গাড়ীতে বোম ফাঁটিয়ে
হয়ে যাবে চেতনাধারি।
পঙ্গু মুক্তির সৈনিক টাকার
অভাবে ফুল দিতে পারবেনা
তবুত আমার মুক্তির নেশায় সেই দেশপ্রেমিক।
আমার ভাষা আজ লাঞ্চিত
আমার বর্ণমালা আজ পরিচয়হীনা।
আমার শহীদ মিনার আজ রঙ্গমঞ্চ
মুক্তির সৈনিকরা আজ দুঃখ বীণা।
আমি ৫২র বরকতের রক্তে রঞ্জিত
পবিত্র বাংলা ভাষার মুক্তি চাই।
আমি আজ রাজপথে বুলেট খাওয়া রফিকের
পবিত্র মুখের মুক্তি চাই।
এই দিবসে আমি নগ্ন নারী
পদচারণাময় শহীদ বেদী দেখতে আসি না।
আমার শহীদ ভায়ের স্বরণে
বাংলা ভাষাকে পশ্চিমাদের গ্রাহুরাশ থেকে মুক্তি চাইতে আসি।
কবিতাঃ দরকার ছিলোনা
কাঠফাঁটা রৌদ ছিল
তবে জ্বলমলে
সবাই ঘর ছেড়ে বেরিয়ে পরেছে
নতুন কিছু বরণ করতে
তুমিও তেমন হয়েছো
কিন্তু আমি হয়নি
কারণ আমার বের হওয়ার দরকার ছিলনা
তই ঘরে ছিলাম।
পাহাড় ঘেঁসে উঠেছে রাস্তা থেকে
রাস্তা হারিয়ে গেছে পাহাড়ের আড়ালে
সবাই দেখছিলো
তুমিও !
আমি দেখিনি
কারণ আমার দেখার দরকার ছিল না।
বারবার বৃষ্টি হতে চেয়েছে
বৃষ্টি হয়নি
বজ্রবাতাস হয়েছে
কারণ তুমি ভিজতে চাও নি।
আঁকাশটা পাহাড়ের সাথে মিসে গিয়েছিল
হাজারো মানুষ ভীর করেছিল
ঢাঁক ঢোঁল অনেক বেঁজেছিল
সবায় নাছতেছিল
তুমিও!
আমি শুনিনি,
আমি দেখিনি
কারণ আমার দরকার ছিলনা ।
প্রকৃতিকে বরণ করতে
প্রিয় স্বদেশ আমার
নানা রঙে বর্ণে সাঁজানো হয়েছে
তুমিও সেজেছো
শাঁড়ী চুরি মেহেদি লাগিয়েছো
সবার মত
আমার দরকার ছিলনা
কারণ আমি তোমার মত ছিলাম না।
পাহাড় থেকে বের হওয়া রাস্তা দিয়ে
তুমি হেঁটে এসেছো
রেল পথে,
অনেকের সাথে আড্ডা দিয়েছো
আমি আসতে ছেয়েছিলাম
তবু আসি নি
কারণ আমাকে তোমার দরকার ছিলনা।
তাই ঘরে থাকতে চেয়েছিলাম
কিন্তু সন্ধ্যাপারে এক আগন্তুক তা হতে দিল না।।
তবে জ্বলমলে
সবাই ঘর ছেড়ে বেরিয়ে পরেছে
নতুন কিছু বরণ করতে
তুমিও তেমন হয়েছো
কিন্তু আমি হয়নি
কারণ আমার বের হওয়ার দরকার ছিলনা
তই ঘরে ছিলাম।
পাহাড় ঘেঁসে উঠেছে রাস্তা থেকে
রাস্তা হারিয়ে গেছে পাহাড়ের আড়ালে
সবাই দেখছিলো
তুমিও !
আমি দেখিনি
কারণ আমার দেখার দরকার ছিল না।
বারবার বৃষ্টি হতে চেয়েছে
বৃষ্টি হয়নি
বজ্রবাতাস হয়েছে
কারণ তুমি ভিজতে চাও নি।
আঁকাশটা পাহাড়ের সাথে মিসে গিয়েছিল
হাজারো মানুষ ভীর করেছিল
ঢাঁক ঢোঁল অনেক বেঁজেছিল
সবায় নাছতেছিল
তুমিও!
আমি শুনিনি,
আমি দেখিনি
কারণ আমার দরকার ছিলনা ।
প্রকৃতিকে বরণ করতে
প্রিয় স্বদেশ আমার
নানা রঙে বর্ণে সাঁজানো হয়েছে
তুমিও সেজেছো
শাঁড়ী চুরি মেহেদি লাগিয়েছো
সবার মত
আমার দরকার ছিলনা
কারণ আমি তোমার মত ছিলাম না।
পাহাড় থেকে বের হওয়া রাস্তা দিয়ে
তুমি হেঁটে এসেছো
রেল পথে,
অনেকের সাথে আড্ডা দিয়েছো
আমি আসতে ছেয়েছিলাম
তবু আসি নি
কারণ আমাকে তোমার দরকার ছিলনা।
তাই ঘরে থাকতে চেয়েছিলাম
কিন্তু সন্ধ্যাপারে এক আগন্তুক তা হতে দিল না।।
কবিতাঃ ষাটের কবি বেঁছে থাক
একদা রাজনীতির কবি লিখেছেন রাজনৈতিক কবির বন্ধনা
সে কবি: নির্মলেন্দু গুণ
আমার কাব্যে ফুঁটা রঙিণ কবিতা।
ষাটের কবি ষাট শেষ করেছে
করেছে ৭১রে গল্প
গেয়েছে বিজয়ের গান
লিখেছে মুজিবের কাব্য
সেই ষাটের কবি!
সকালে ফোঁটা কাঁননের সাদা একটা বেঁলী
তেমায় দিলাম
তুমি শান্তির বাণী ছড়িয়ে দিও।
লাল গোলাফ আরজ করে
কি দুষ তার?
কবির শুভেচ্ছা বাহক হল না
সন্ধ্যার আকাঁশ লাল হতেই লাল গোলাফটি কবির স্বরনে উৎসর্গ করলাম
রণাঙ্গনের রক্তের প্রতিচ্ছবি করে।
কবি কাছে আরজ রাখি
শহিদের রক্ত দিয়ে একটা কবিতা লিখ
সেই হউক কবির কালজয়ী শ্রেষ্ট কাব্যর শ্রেষ্ট লিখা।
কবির বন্ধনায় জাগি
কবির জন্মদিনে একটা ছোট্ট কথা বলার ছিল
ষাটের কবি বেঁছে থাক
ষাট হাজার বৎসর
আরো কিছু লিখা হউক
বঙ্গবন্ধুর সংলাপে।।
কবিতাঃ বৃষ্টি
বৃষ্টি তুমি বড় অসময়ে এলে
নীল আঁকাশ, রৌদ্দুর জ্বল জ্বল
মেঘেরা কেমন ছন্দে ছন্দে খেলছিল
তুমি কেন এলে এই অসময়ে ?
ষোড়শী তরুনী আঁচলে গেঁথে ছিল
হৃদয় রাঙানো প্রেম
ভালবেসেছিল কোন এক ব্যার্থকুমার
বৃষ্টি তুমি বড় ঝড় হয়ে এলে!
ষোড়শী কন্যার স্বপ্নাকাশ ভেঙ্গে।
মেঘ তুমি কাঁদতে এসেছিলে
তোমার অন্ধকার রূপ
অন্ধকার পৃথিবী
বড় ভালই ছিল
তোমার আগমনে গোলাপেরা মৃত্তিকায় লুটালো
হরীদাসের কোঁপাল পোরালো
সন্ধ্যাতারা পালিয়েছিল
বৃষ্টি তুমি বড় অসময়ে এলে!
সব ভেঙ্গে ছূড়মাড় করে দিলে।
তোমায় কেউত কাঁদতে ডাকেনি
তোমায় কেউ ভিজাতে বলে
তবু কেন এলে এই অসময়ে ?
পঁচাশী কিশোর !
রাতভোর দৌড়ানো যার স্বভাব
কখনো বিপ্লব হয়ে স্লোগান হত পথের
কখনো ফুটফাতের কোনে টং দোকানে আড্ডা জমিয়ে
দুপুর রাতে সিগারেট ফুকতে ফুকতে ঘরে ফিরতো।
সে আর নেই!
বৃষ্টি তুমি বড় অসময়ে বজ্রপাত হয়ে এলে ।






ব্লগ সুন্দর হয় নাই
ReplyDelete